কবে জুতা মুক্ত হবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার?
কবে জুতা মুক্ত হবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার?
বছরের অন্য সময় অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকলেও প্রতিবছর বিভিন্ন দিবস বা ফেব্রুয়ারি আসলেই বেড়ে যায় শহীদ মিনারের কদর।এই কথাটা পত্র-পত্রিকায় আমরা প্রায়ই শুনে থাকি।উদ্বোধনের পর ববির শহীদ মিনারের অবস্থা অনেটা এরকম না হলেও কোন অংশে কম নয়।প্রায়শ দেখা যায় জুতা পরেই শহীদ মিনারের বেদিতে উঠে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বহুবার এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ ও প্রতিবাদ জানিয়েও কাজ হয়না।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেখালাম মিনারের মূল বেদিতে জুতা পায়ে বসে আছেন একজন শিক্ষার্থী।মাঠে ক্রিকেট বা যে কোন খেলা চলাকালিন দর্শকদের মধ্য থেকে মূল বেদির ওপরে পরা ছাঁয়ায় নিজেকে রোদ থেকে আড়াল করতে কেউ কেউ উঠে পরেন জুতো পায়ে(ছবিটি ভাল করে লক্ষ্য করলো বোঝা যাবে)।বেদির ওপর কেন জুতা পরে দাঁড়িয়েছেন- জানতে চাইলে কেউ কেউ দুঃখ প্রকাশ করে চলে যান।এটা যে শুধু এই দিনের ঘটনা বিষয়টি কিন্তু তা নয় এভাবে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ মিনারের মূল বেদিতে ওঠা নামা করছে অনায়াসে।
৪ জানুয়ারি'(২০১৬) সন্ধ্যায় যখন প্রজেক্টরের দিয়ে শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর ডকুমেন্টারি দেখানো হয়েছিল তখনও আমাদের অনেক শিক্ষার্থীকে জুতা পায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে ওঠা নামা করতে দেখা গেছে।
ভাষা সৈনিক রেজাউল করিম একবার বলেছিলেন, ‘শহীদ মিনারে যখন কেউ জুতা পায়ে ঘুরে বেড়ায় তখন আমরা অনেক দুঃখ পাই। মনে হয়, আমাদের বুকের ওপরে জুতা পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।'
সংবিধানের ১০২ নং অনুচ্ছেদ ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, শহীদ মিনারের আশেপাশে ভবঘুরেদের অবস্থান, অসামাজিক কার্যকলাপ ও মূল বেদিতে মিটিং মিছিল ও পদচারণা নিষিদ্ধ।জাতীয় শহীদ মিনারের মত ববি শহীদ মিনারের সামনে এসব নিয়ম কানুন সম্বলিত নোটিশ বোর্ডের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।দরকার শুধু একটু, আন্তরিকতা একটু সচেতনতা।
"একুশ মানে ফিরে পাওয়া,
আমার সকল অধিকার;
বুক ফুলিয়ে বলতে পারি,
বাংলা আমার স্বাধিকার।
একুশ মানে প্রভাত ফেরী
একুশ মানে শহীদ মিনার,
আলপনা আর তাজা ফুলে;
পুষ্পস্তবক রাখছে সবাই,
রাজনীতি আর বিভেদ ভুলে"
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর উচিত গুরুত্বের সঙ্গে শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করা। আমাদের বুঝতে হবে শহীদ মিনারের বেদিতে জুতা পায়ে ওঠলে ভাষা শহীদদের অসম্মান করা হয়।
#মোঃ শফিকুল ইসলাম।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
চতুর্থ সেমিস্টার
আমার কাছে এর থেকেও গুরুতর ছবি আছে। রেখে দিয়েছি কোনোদিন লাগলেও লাগতে পারে।
উত্তরমুছুনআপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ,
উত্তরমুছুনআপনি চাইলে কিছু ছবি আমাকে পাঠাতে পারেন যেটা পরবর্তী লেখায় হয়ত কাজে আসবে।এর মাধ্যমে আপনিও প্রতিবাদে আশংগ্রহন করলেন।