পোস্টগুলি

2020 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইডেনবার্গের ব্যাটল গ্রাউন্ডে

ছবি
ইডেনবার্গের ব্যাটলগ্রাউন্ডে সারা পৃথিবী ছেড়ে তোমার কাছে ঠাঁই খোঁজা, আশ্রয় চাওয়া সেই মানুষটা কি করছে কেমন আছে,,  তোমার জানতে ইচ্ছে হয়না কখনো? কোয়ারেন্টাইনে থেকে থেকে লুডু ছেড়ে পাবজি খেলায় তো বেশ অভ্যস্ত,ব্যস্ত।  ওসবের আর সময় কোথায়!  আমি চাই কেউ একজন লুডু খেলতে ইনভাইট করুক ইনবক্সে নক দিয়ে বলুক, লুডু খেলবেন?  আচ্ছা, অ্যাপ্লিকেশন কিনে গেমটি খেলতে টিমমেটদের জন্য কি আপগ্রেড কিনেছিলে?  দীর্ঘসময় ফোনে দেখে মা কি একটুও বকাবকি করে?  প্লেনের ট্রাজেক্টরি হিসেবে ম্যাপের কোথায় ড্রপ করতে হবে সেটা ঠিকঠাক পারো তো?  প্লেন থেকে ল্যান্ড করার সাথে সাথেই অন্যান্য প্লেয়ারদের দ্বারা কুপোকাত হয়ে যাও না তো? জানো? এসব ভেবেই আমার কোয়ারেন্টাইনের ব্যস্ত সময় কেটে যাচ্ছে। আজকাল নিজেকে বড্ড ব্যাটল পয়েন্ট মনে হয় তুমি যতটা পারো দূরে গিয়ে ল্যান্ড করো। প্লেন থেকে নেমেই যদি আমার মাথায় Karabiner 98 অস্ত্রের 8X স্কোপ থেকে গুলি এসে লাগে আর হঠাৎ আমি মরে যাই সেটা কি তোমার ভালো লাগবে বলো? মাত্র তো ৫ মিনিটই পেয়েছিলাম সেই ইডেনবার্গে। এর...

করোনাঃ নয়া ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ

করোনাঃ নয়া ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ  শফিকুল ইসলাম বিশ্বব্যাপী মানবিক বিপর্যয়ে সব দেশই পারস্পরিক ও দ্বৈত সহযোগীতা জোরদার করে। কখনও কখনও ভূ-রাজনৈতিক বিরোধীরাও একে অপরকে সহায়তা করে। ২০০৩ ও ২০১২ সালে ইরানে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পরে আমেরিকাও সাহায্য করেছিল।  তবে করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন, দু'জন অতিশয় শক্তিশালী সামেরিয়ান রাশিয়া এবং চীন ভূ-রাজনৈতিক লাভের জন্য তাদের বাহ্যিক সহায়তা ব্যবহার করছে। সাম্প্রতিক  কার্যকালাপে সেসব দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কন্টির মধ্যে সাম্প্রতিক এক ফোনালাপের পরে রাশিয়ার সরকার নয়টি বিমানে চিকিৎসা সরাঞ্জামসহ ইতালিতে  শতাধিক বিশেষজ্ঞ পাঠিয়েছে।  ইতালি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজেটের চতুর্থ বৃহত্তম অনুদানকারী হয়েও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো থেকে প্রথমদিকে কোন সহায়তা না পেয়ে হতাশ হয়ে  রাশিয়ায় কাছে ঘেঁষেছে। জার্মানি, ফ্রান্স এবং অস্ট্রিয়া লক্ষ লক্ষ ফেস মাস্ক ইতালিতে পাঠিয়েছে,চেক প্রজাতন্ত্র কয়েক হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক স্যুট পাঠিয়েছে। জার্মানি ব...

অভিবাসী হাসান আকদের মানবসেবা

অভিবাসী হাসান আকদের মানবসেবা শফিকুল ইসলাম ও  ওমর শাহেদ।  সিরিয়ায় পুলিশ কব্জি গুঁড়িয়ে দিল। রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে গেলেন। সেখান থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পেরিয়ে যুক্তরাজ্যে এলেন। করোনার সময় হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করছেন হাসান আকদ। তার গল্প শোনালেন  শফিকুল ইসলাম ও  ওমর শাহেদ। https://www.deshrupantor.com/specially/20 পাল্টে যাওয়া জীবন: সপ্তাহে এক দিন হলেও দুঃস্বপ্নটি ফিরে আসে হাসান আকদের জীবনে। আছেন সিরিয়ায়, প্রচণ্ড আক্রোশে লাঠি দিয়ে তাকে পেটানো হচ্ছে। অনেক চেষ্টার পরও দেশ ছাড়তে পারছেন না। বলছিলেন এই তরুণ, ‘সিরিয়ায় আমার সুখস্মৃতিগুলো এই দুঃস্বপ্নগুলোর কারণে উপেক্ষিত। অবচেতনভাবে এগুলো আমার মস্তিষ্কের ভেতরে কীভাবে ঘুমিয়ে থাকে, তা বড় দুঃখের বিষয়। ’ নিজের সুখস্মৃতিগুলোও ভোলেন না তিনি। সেগুলো হলো লতাকিয়ায় যাওয়ার পথে আনন্দভ্রমণ, হৌসাতে ভেড়ার ঝলসানো মাংস খাওয়া, দামেস্ককে চারপাশের গ্রামগুলোতে বেড়ানো, বন্ধুদের সঙ্গে এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি। প্রিয় দাদা ও দাদির সঙ্গে ডিনার টেবিলে বসে খাওয়া-দাওয়া। সিরিয়ায় যখন গৃহযুদ্ধ শুরু হয় তখন বয়স ২০ বছর।...

বদলে যাচ্ছে বিশ্বের জলবায়ু

করোনাভাইরাসের আক্রমণে থমকে আছে জনজীবন, জীবিকার সংকট হয়ে উঠছে তীব্র, অর্থনীতির চাকা থমকে গেছে। তবু অভাবনীয় উনড়বতি হচ্ছে নানা ক্ষেত্রে। বিশ্বের জলবায়ুতে উন্নতি হচ্ছে। প্রাণীদের জীবনযাপনে নতুন প্রাণ আসছে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমেছে। এমন নানা পরিবর্তন নিয়ে দৈনিক দেশ ররূপান্লিতরে লিখেছেন শফিকুল ইসলাম। (২২ মে ২০২০) কোথাও কেউ নেই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সারা বিশ্বে এখন লকডাউন। তাতে মানুষের কাজ থেমে গেলেও প্রকৃতিতে প্রাণ ফিরেছে। কর্মমুখর বিরাট বড় শহরগুলোতেই শুধু নয়, সুনসান নীরবতা নেমে এসেছে প্রায় সব দেশের প্রত্যন্ত ছোট শহরেও। ফলে প্রকৃ তি দূষণের হাত থেকে বেঁচে ধীরে ধীরে আরও সজীব হচ্ছে। তাতে দুনিয়ার সবচেয়ে উনড়বত দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার অঙ্গরাজ্যের জমকালো সৈকতে চলে এসেছে সারি সারি ডলফিন। যে দক্ষিণ আফ্রিকার সংরক্ষিত বন ক্রুগার ন্যাশনাল পার্ক’ পর্যটকের ভিড়ে ব্যস্ত থাকত, সেখানে এখন কেউ নেই। গাড়ি না থাকায় পর্যটকের ব্যস্ত রাজপথে ভয় কাটিয়ে চলে আসছে সিংহের দল। ভিতু হরিণের পাল অবাধে সাহসে ভর দিয়ে বন থেকে বেরিয়ে পড়েছে জাপান, কানাডার পথে পথে। জাপানে তো তারা সব...

চার কৌশলে সর্বোচ্চ সিজিপিএ, পেলেন প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক

প্রথম ব্যাচের ছাত্রী ছিলেন সুরাইয়া আক্তার সুমনা। সবেমাত্র বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু। শত প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়েছেন। চারটি কৌশল রপ্ত করে পড়াশোনা করেছেন। কৌশলগুলো হলো, প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস, মনোযোগ সহকারে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ, লেকচারগুলো বাসায় নিয়মিত পড়া, কখনো পড়া জমিয়ে না রাখা। সাফল্যের স্বীকৃতি সত্যিই গর্বের, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সে এক অন্যরকম অনুভূতি। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণপদক গ্রহণ কেবল বিশ্ববিদ্যালয় জীবনই নয় বরং জীবনের একটি অনন্য অর্জন হয়ে থাকবে। বলছিলেন সুরাইয়া আক্তার সুমনা। সুরাইয়া ইংরেজি বিভাগের স্নাতকে (সম্মান) ৩.৬৩ স্নাতকোত্তরে ৩.৭৫ সর্বোচ্চ সিজিপিএ পেয়ে প্রথম হয়েছেন। কলা অনুষদেও যা ছিলো সর্বোচ্চ। পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক ২০১৭। একজন আদর্শ শিক্ষক হতে চান তিনি। গবেষণায় সমাজ পরিবর্তনে বড় ভূমিকাও রাখতে চান। ঢাকার রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৯ সালে এসএসসি, ২০১১ সালে মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। প্রথম ব্যাচের এই ছাত্রী ২০১৬ সালে আনার্স ও ২০১৭ সালে মা...