বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠযোগ্য করতে হলে
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য মহোদয় জাতীয় পত্রিকা দৈনিক সমকালে একটি কলাম লিখেছেন।কিভাবে ঢাকাকে বাসযোগ্য করা যায় তার সুন্দর একটি প্রস্তাবনা।আমরা সাধুবাদ জানাই, এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করবে।সুশীল সমাজও নিশ্চয়ই স্যারকে সাধুবাদ জানাবে।আমরাও চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যাররা কলাম লিখুক, টকশো করুক, দেশের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে তাদের পরামর্শ নিতে অতিথি হিসেবে ডাকা হোক, জাতীয় সমস্যা মোকাবেলায় অবদান রাখুক।সর্বোপরি শিক্ষার্থী এবং সম্মানিত স্যারদের ব্রান্ডিংই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রান্ডিং।এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বজায় রাখবে।দেশকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
কলামটি পড়ার পরে একটি বিষয় নিয়ে চিন্তিত, কিছুটা দ্বিধান্বিত।ঢাকা নগরী নিয়ে উপাচার্য মহোদয় যতটা ভাবছেন (কিভাবে বাসযোগ্য সুন্দর নগরী করা যায়) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ততটা ভাবনা আছে কিনা সে ব্যাপারে।৩ বছরেরও বেশী সময় ধরে উপাচার্য মহোদয় দায়িত্ব থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কতটা পরিবর্তন আসছে তাও একটু চিন্তা ফেকের করার বিষয়।এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে পড়াশোনা উপযোগী করে তোলা যায় সেটা নিয়ে তিনি কতটা কাজ করেছেন।স্যার বলেছিলো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় হবে "ওয়ার্ল্ড ক্লাস ইউনিভার্সিটি "। কথাটা এখনও আমার কানে বাজে।একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, উপকরণ, শিক্ষক বা সুযোগ সুবিধা না থাকলে সেটাতো কোন ক্লাসের মধ্যেই পড়ে না, তাহলে ওয়ার্ল্ড ক্লাস ইউনিভার্সিটি হবে কি করে?
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকলেও, গুণগত শিক্ষা অর্জনে প্রতিবন্ধকতা থাকলেও,প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা একটি সুন্দর দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি।
"বিশ্ববিদ্যালয়" বলতে, যদি বিশ্বের বিদ্যালয় বোঝায় যেখানে চর্চা হয় বিশ্বমানের জ্ঞান,বিশ্বজ্ঞান।এই বিচিত্র বহুমুখী প্রতিভা বিকশিত হওয়ার স্থান যদি হয় বিশ্ববিদ্যালয় তাহলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা নিজেকে বারবার প্রশ্ন করেছি। আমরা এই বিশ্বজ্ঞান অর্জনের পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি কিনা??
উত্তরে" না " ছাড়া কোন শব্দ আসার সুযোগ নেই।
ইউজিসি ২০ বছর মেয়াদী(২০০৬-২০২৬) কৌশলপত্র নামে যে একটি মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সেখানে দেখা যায় আগামী ২০ বছরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ব্যয়ের ক্ষেত্রে তার বরাদ্দের অংশ ৯০% থেকে কমিয়ে ৭০% এহ্রাস করার পরিকল্পনা করেছে।তার অর্থ হল এই বাকি টাকা ছাত্রদের থেকে আদায় করা হবে।ভিসি স্যার তারই অংশ হিসেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপর মার্কশীট উত্তোলন ফি,মুক্তমঞ্চ,কির্তনখোলা হলের মত নতুন নতুন সেক্টরে দফায় দফায় ফি আরোপ করছেন কিনা তার উত্তর শিক্ষার্থীরা খুঁজছেন।
লাইব্রেরী,রিডিংরুম,ক্যাফেটেরিয়া,সুন্দর খেলার মাঠ,সুইমিংপুল,জিমনেশিয়াম,ডরমেটরি,কনফারেন্স রুম, মসজিদ,টিএসসি, বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার,উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা,কম্পিউটার ল্যাবে ইন্টারনেট সংযোগ,ই-জার্নাল ও ই-লাইব্রেরী ব্যবহার,প্রয়োজনীয় পরিবহন ব্যবস্থা,সরকারি খরচে হলে ইন্টারনেট সংযোগ,রিডিংরুম,গেস্টরুম,ড্রেনেজ ব্যবস্থা (বিশেষ করে হলগুলোর যা অবস্থা),ইত্যাদি এসবের কিছুই নেই আমাদের।না,থেমে থাকিনি তবুও আমরা তথাকথিত বিশ্বজ্ঞান অর্জন করছি। কিভাবে ব্যাপারটি একবার ভাবুন তো! হ্যা আমরা হলাম স্বীকৃত সুবিধা বঞ্চিত, নিরীহ প্রাণী।তাই সবই সম্ভব।
অথচ সবারই জানা আছে,ছাত্র-শিক্ষক পারস্পরিক বিনিময়ের জন্য ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র প্রয়োজন, হলগুলোর সাথে খেলাধুলার জন্য বড় মাঠ প্রয়োজন।হলের সাথে বড় পুকুর প্রয়োজন।যে পুকুর আছে তা ব্যবহারযোগ্য না।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য মঞ্চ প্রয়োজন। আলোচনা সভা, সেমিনারের জন্য হলরুম প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা, খেলাধুলা প্রভৃতি সম্পর্কের চর্চার জন্য আগত অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা করতে ডরমেটরি প্রয়োজন।গণতান্ত্রিক চর্চা আর মতপ্রকাশের জন্য সভাস্থল প্রয়োজন। এর সবই প্রয়োজন ছাত্রদের জন্য, উচ্চশিক্ষার জন্য। এই প্রয়োজন খণ্ডকালীন বা সাময়িক নয়, সার্বক্ষণিক প্রয়োজন।কিন্তুু আমরা কি পাচ্ছি আর এগুলোর কতটুকুই বা ব্যবহার করছি।মুক্তমঞ্চ,কির্তনখোলা হলের উপর যে ভাড়া আদায় করা হয় আমাদের পক্ষে সেখানে অনুষ্ঠান করা সম্ভব না।ট্রাষ্ট ভবনও ছাত্রদের থেকে কেড়ে নিয়ে নামফলক পর্যন্ত মুছে ফেলা হইছে।আমরা অন্যান্য অধিকার থেকেও বঞ্চিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আহরণের প্রানকেন্দ্র হল লাইব্রেরী। পর্যাপ্ত বই থাকবে সেখানে,কিন্তুু তা কি আছে আমাদের লাইব্ররীতে বা সেমিনারে? লাইব্রেরী এই অবস্হার তীব্রতা বোঝানোর জন্য আমার ডিপার্টমেন্টর অবস্হা কতটা করুন তা উল্লেখ না করলে হয়ত মনের কোনে কালো মেঘ জমে থাকবে।এমন অনেক কোর্সও সম্পন্ন করেছি যে কোর্সের কোন বই লাইব্রেরীতে ছিল না,এখনও নাই।গুগলই ছিল একমাত্র আশা ভরসা।অবশ্য এখনও তাই।
হিসাবটা খুব সহজ,বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত আমাদেরকে প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ সুবিধা দিতে পারছে না অথচ আমাদের সামর্থের বাইরে আদায় করা হচ্ছে ভর্তি ফি, সেমিস্টার ফি,বিভাগ উন্নায়ন ফি,পরিবহন ফি,চিকিৎসা ফি।আরও কত কি।কথায় আছে "মরারে আরো মার"।সব কিছু থেকে সুবিধা বঞ্চিত করে কিভাবে ওযার্ল্ড ক্লাস ইউনিভার্সিটি করেতে চায় তার উত্তর হয়তো অজানাই থাকবে। আমরা ন্যায্য অধিকার চাই। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের মত এ্যাতো টাকা দিয়ে কাউকে পড়ালেখা করতে হচ্ছে না।আমরা টাকাও দিচ্ছি বেশি আবার পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশও পাচ্ছি না। এমনটাতো হওয়ার কথা না।
২০১৫ সালে আমি যখন রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ভর্তি হই তখন আমার এক বন্ধু জমি বন্ধক রেখে ভর্তি হওয়ার পর বাড়ি থেকে ৩০০ টাকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে,সে তখনো জানেনা কোথায় থাকবে,কি খাবে, মাসের বাকি দিনগুলি কিভাবে কাটবে।কত অভাব,অনটনে দিন যাপন করলে পড়ালেখার জন্য একজন বিশ্ববিদ্যালেয় শিক্ষার্থী আত্মসম্মান ভুলে বরিশালে অটো চালক হয় তা হয়তো সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মানাো মানুষগুলো বুঝবেনা।
নিম্নবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা কোনো ছাত্র সামাজিকভাবে অপদস্থ হয়ে, ধার-দেনা করে কিংবা জমিজমা বিক্রি করে কিংবা ঋণগ্রস্ত হয়ে ভর্তি ফি-এর ধাক্কাটা হয়তো সামলে নেয়। তারপরও তার সামনে দীর্ঘ পথ বাকি থাকে। প্রতিবার সেমিস্টার ফি, পরীক্ষার ফি কীভাবে জোগাড় হবে তা অধিকাংশ ছাত্রদেরই তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। ফলে দু-তিনটা টিউশন করা নয়তো কোচিং-এ ক্লাস নেয়া ছাড়া বিকল্প পথ থাকে না। সেমিস্টার ফি একদিন দেরিতে জমা দিলে ১ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়। টাকা জোগাড়ের এই মানসিক চাপের পাশাপাশি হলের নিম্নমানের খাবার খেয়ে আর ড্রেনেজ ব্যবস্থাহীন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থেকে পড়াশুনায় মনোযোগ দেয়া খুবই কঠিন।
মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর পাশাপাশি সর্বাগ্রে দরকার দক্ষ, যোগ্য, নিবেদিতপ্রাণ, আদর্শবাদী শিক্ষক।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র -শিক্ষকের অনুপাতে শিক্ষক সল্পতা রয়েছে।৪৪ জন প্রফেসর পোষ্টের ৪৩ টি, ৬৬ জন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পোস্টের ৬৫ টি পোস্ট খালি।২৪১ জন লেকচারার থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ১৭৩ জন।অর্থাৎ ৪৯% পোষ্ট খালি।এই শিক্ষক সল্পতার পড়ালেখায় কতটা প্রভাব ফেলছে তা অনুধাবন করা খুবই সহজ।একজন শিক্ষককে প্রয়োজনের তুলনায় বেশী ক্লাস নিতে হচ্ছে।গড়ে ৭/৮ ঘন্টা।ফলে স্যাররা ক্লাস পূর্ববর্তী পড়ালেখার জন্যও সময় পাচ্ছেন না।যার প্রভাবে শিক্ষার্থীরা একটি স্টান্ডার্ড পাঠ পাচ্ছে না।আমরা তুলনামূলক অযোগ্য হয়ে গড়ে উঠছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ ও টেন্ডার শেষে কাজগুলো নির্ধারিত সময়ে সমাপ্ত হচ্ছে না কেন?? এগুলো তদারকি করার জন্য কি কেউ নেই?
বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিদের নীতি নৈতিকতা বিরোধী কাজকর্ম সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অর্জনকে ধূলিসাৎ করে দেয়।মানুষের কাছে লজ্জায় মুখ দেখানো যায় না।এ ব্যাপারে প্রশাসনকে কঠোর অবস্থান গ্রহন করতে হবে।তা নাহলে ছাত্ররাই যেকোন সময় ফুঁসে উঠবে।
আজকের শিক্ষার্থীরা কোন ভিন গ্রহ থেকে আসেনি।এরকম একটা সুবিধা বঞ্চিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিশ্ববিদ্যা’ অর্জিত হয় নাকি! শেষ পর্যন্ত হয়তো একটি সনদ জোটে কপালে, কিন্তু তা দিয়ে দেশ-দশ-সমাজের তেমন উপকার হয় না। জনগণের টাকা দিয়ে পড়ে শেষ পর্যন্ত জনগণের সঙ্গে প্রতারণাই করা হয়।শিক্ষা আমাদের অধিকার।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সিংহভাগ শিক্ষার্থীর শিক্ষার অধিকার মারাত্মকভাবে সংকুচিত হচ্ছে।
সর্বশেষ একটি কথা বলতে চাই।বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত না করে বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা বন্ধ করা উচিত।কারণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাত বছর হলেও প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করতে কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠযোগ্য করতে হলেঃ
(১)প্রয়োজনীয় দক্ষ, নিবেদিতপ্রাণ, আদর্শবান শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
(২)ভর্তি ফি ১৩৫০০ এর পরিবর্তে ৪০০০/৫০০০ করা। সেমিস্টার ভর্তি ফি ২০০০ টাকা,মান উন্নয়ন ফি ২০০ টাকা এবং ফি সম্পর্কিত সকল জরিমানা বাতিল করা অথবা প্রথমদিন থেকে ত্রিশদিন পর্যন্ত ১০০০ টাকা,এবং ৩১-৬০ দিন পর্যন্ত ২০০০ টাকা জরিমানার পরিবর্তে ৫০/১০০ টাকা জরিমানা , বিভাগ উন্নয়ন ফি ২০০০৳ (চারবছরে)।
(৩) হলের ক্যান্টিনে ভর্তুকি দেয়া ও হলের বাৎসরিক আবাসন ফি কমানো,সরকারি খরচে ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা।
(৪)কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী (পর্যাপ্ত বই থাকা আবশ্যক) ,ক্যাফেটেরিয়া,ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তন অতিদ্রুত চালু করতে হবে।
(৫)মুক্ত মঞ্চ ও কীর্তনখোলা হল বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া।খেলার মাঠকে খেলার উপযোগী করা এবং তার পাশের পুকুরকে সুইমিংপুলে রুপান্তরিত করা।
(৬) উন্মুক্ত ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ন ক্যাম্পাস ও হল সমূহ Wi-Fi এর আওতায় আনা।(এখন যা আছে তা শুধু নামে আছে কাজে নাই, হলের নেট বিলও ছাত্ররা পরিশোধ করে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিশোধ করা উচিত )
(৭) ফিটনেস বিহীন বাস বাতিল করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য নিজস্ব বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
(৮)শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাস্তা পারাপারের লক্ষ্যে ঢাকা - পটুয়াখালী হাইওয়েতে আন্ডারপাসের ব্যবস্থা করা।গড়ে প্রতি ১০ মিনিটে ২০/২৫ জন শিক্ষার্থী হাইওয়ে রোড ক্রস করে,যা ঝুঁকিপূর্ণ।
(৯) সেশন জট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে যথাযথ কার্যকারি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
(১০) হল সমূহে পূর্ণাঙ্গ রিডিং রুম সহ গেস্টরুমের ব্যবস্থা করতে হবে।একাডেমিক ভবন ও হলে সামান্য বৃষ্টিতে পানিতে সয়লাব হওয়ার সমস্যা অনতিবিলম্বে সমাধান করতে হবে।
(১১)ই-জার্নাল ও ই-লাইব্রেরীতে হাজার হাজার বই আছে তা শিক্ষকদের পাশাপাশি ছাত্রদেরকে অ্যাকসেস দিতে হবে।
(১২) অতিদ্রুত মসজিদ ও মন্দিরসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালায়ের কাজ সমাপ্ত করা।
(১৩)বাস স্টাফসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্ব্যবহার, দায়িত্বহীনতা বন্ধ করতে হবে।কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করে নীতি নৈতিকতা বিরোধী কাজ করলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
(১৪) ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থা করা,ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও ক্যাম্পাসকে পূর্ণাঙ্গ রুপ দিতে সবুজায়ন করা,ঝোপঝাড় পরিস্কার করা, সীমান প্রাচীর ও প্রধান ফটকের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে।
মোঃ শফিকুল ইসলাম,রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ,৪র্থ বর্ষ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।
অসাধারণ বিশ্লেষণধর্মী লেখা!
উত্তরমুছুনধন্যবাদ।
উত্তরমুছুন